বকশীগঞ্জ জামালপুর প্রতিনিধি আলী মজনু বাবু
জামালপুরের বকশীগঞ্জে ঢাকাস্থ বকশীগঞ্জ সমিতির উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বকশীগঞ্জ উপজেলা সরকারি গ্রন্থাগারে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকাস্থ বকশীগঞ্জ সমিতির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও বিশিষ্ট শিল্পপতি এম. এ. সাত্তার। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ বকশীগঞ্জ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও শিল্পপতি আগা সাহিদ মিন্টু, অতিরিক্ত আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ লিটন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত জামালপুর-০১ (বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট মাওলানা নাজমুল হক সাঈদী, বিএনপি উপজেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব মানিক সওদাগর, পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শাকিল তালুকদার, বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ, অধ্যক্ষ হাসদান বিন রফিক, সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক, বকশীগঞ্জ সরকারি কিয়ামতউল্লাহ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবু সাঈদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আফসার আলী, ইঞ্জিনিয়ার মো. মোফাজ্জল হোসেন, ঢাকাস্থ বকশীগঞ্জ যুব কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও সিটি ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম মাসুম, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, জাতীয় নাগরিক পার্টির উপজেলা সমন্বয়কারী মোসাদ্দেকর রহমান মানিক, ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ফুয়াদ, সমিতির সহসভাপতি হামিদুর রহমান তারেক, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম রাব্বানী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শাহজাহান শাওনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন,
“শিক্ষাই জাতির সবচেয়ে বড় সম্পদ। মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বীকৃতি প্রদান তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করে।”
তারা ঢাকাস্থ বকশীগঞ্জ সমিতির এ উদ্যোগকে সময়োপযোগী ও অনুকরণীয় বলে অভিহিত করেন এবং সমিতির কার্যক্রমকে আরও বিস্তৃত করার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন,
“আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের দেশ পরিচালনার হাল ধরবে। তাদের নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও মেধা বিকাশে সমাজের প্রতিটি স্তরের সহযোগিতা প্রয়োজন।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী এম. এ. সাত্তার বলেন,
“অনেক বছর আগে আমি বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ এলাকায় কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। নানা কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়, তবে আজ এর পুনরায় সূচনা অত্যন্ত আনন্দের। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও এলাকার উন্নয়নে আমি সবসময় পাশে থাকব।”
অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের মোট ৭৩ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা স্মারক ও বৃত্তির চেক প্রদান করা হয়।
শেষে ঢাকাস্থ বকশীগঞ্জ সমিতির পক্ষ থেকে স্থানীয় শিক্ষাখাতের সার্বিক উন্নয়নে ধারাবাহিকভাবে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।
এ জাতীয় আরো খবর...